মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তারপরই একস’ঙ্গে থাকার সিদ্ধা’ন্ত। বিয়ের পর একস’ঙ্গে কে’টে গিয়েছে একান্ন বছর। ঝগড়াঝাটি, মন কষাকষি হয়েছে তবে দাম্পত্যে ছেদ পড়েনি।কিন্তু করো’না ভাই’রাস সেই স’ম্পর্কে কাটল ছেদ। তবে তা দীর্ঘস্থা’য়ী হল না।স্বামীর মৃ’ত্যুর মাত্র ছ’মিনিটের মধ্যে প্রা’ণ হারালেন স্ত্রী’ও। বাবা-মায়ের মৃ’ত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমীকরণের কথা ভাগ করে নেন দম্পতির ছে’লে। সে কাহিনি শুনে চোখে জল নেটিজেনদের।ফ্লোরিডার বাসিন্দা বছর চুয়াত্তরের স্টুয়ার্ট বেকার এবং বাহাত্তর বছর বয়সি আন্দ্রিয়ান বেকারের একমাত্র ছে’লে স’ম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। ওই দম্পতির ছে’লে ভি
ডিওর মাধ্যমে বাবা-মায়ের জীবনের শেষ দিন কটার কথা উল্লেখ ক’রেছেন।বাড্ডি বেকার জা’নান, “বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তার বাবার জ্বর আসছিল। ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সু’স্থ হয়ে যাবেন। মা প্রতি মুহূ’র্তে বাবার খেয়াল রাখছিলেন। তারপর একদিন বাবার অ’তিরিক্ত জ্বর আসে।ভর্তি করা হয় হাসপাতা’লে। একদিন আচ’মকা ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানতে পারি বাবার শ`রীরে বাসা বেঁধেছে মা’রণ করো’না ভাই’রাস।মা তখন সু’স্থই ছিলেন।তবু সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা মা’থায় রেখে তাকে হাসপাতা’লে নিয়ে যাই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জা’না যায়, মায়ের শ`রীরেও অক্সিজে’নের মাত্রা কম। তাই তাকেও হাসপাতা’লে ভরতি করা হয়।”বাড্ডি আরও বলেন, “বাবার অবস্থা ক্রমশ খা’রাপ হচ্ছিল। মা-বাবা দুজনে কাউকে ছেড়ে থাকতে চাইছিলেন না। তাই ওই বেসরকারি হাসপাতাল ক’র্তৃপক্ষের স’ঙ্গে কথা বলে আম’রা সিদ্ধা’ন্ত নিই তাদের একস’ঙ্গে রাখব।একই কেবিনে দুটি আ’লাদা বেডে তাঁদর রাখা হয়। একদিন হাসপাতাল থেকে জা’নানো হয় বাবা মা’রা গিয়েছেন। সেই শো’ক সামলে উঠতে পারিনি তখনও তার মাঝেই শুনি মা’ও মা’রা গিয়েছেন।”বয়স বেড়েছিল।তবে বেঁ`চে থাকাকালীন কোনও অশান্তিই বেকার দম্পতির জীবনে ছেদ কাটতে পারেনি। পরিবর্তে একস’ঙ্গে হাতে হাত রেখে জীবনের সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন তারা। মৃ’ত্যুও আ’লাদা ক’রতে পারল না তাদের।
© All rights reserved © 2020 SKYLINE IT
Leave a Reply