প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা দেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মাবিয়াও পেয়েছেন অখণ্ড অবসর। কিন্তু গত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতা এই ভারোত্তোলক জানালেন গৃহবন্দি হয়ে হাঁপিয়ে ওঠার কথা।
“একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে গেছি বলতে পারেন। এ কয়দিন ঘরে থেকে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছি। আমি তো বুঝেই উঠতে পারছি না, আমাদের মা-চাচিরা এভাবে সারাদিন কিভাবে ঘরে থাকতে পারে।”
“আসলে আমরা মাঠের মানুষ। প্রতিদিন মাঠে যাব, অনুশীলন করব, এরপর ঘরে ফিরব-এটাই আমাদের জীবন। সারাদিন ঘরে শুয়ে বসে থাকা তাই আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টের।”
বসে থাকার কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পদের খাবার রান্নার চেষ্টার কথাও হাসতে হাসতে জানালেন মাবিয়া।
“ইউটিউবে বিভিন্ন রেসিপি দেখে রান্নার চেষ্টা করছি। সবশেষ কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার চেষ্টা করেছি বোনকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু কিচ্ছু হয়নি…একেবারেই যে হয়নি তা না। আসলে রেস্টুরেন্টের মতো স্বাদের হয়নি। খাওয়া গিয়েছিল (হাসি)।”
শরীর ফিট রাখতে অন্যদের চেয়ে ভারোত্তোলকদের একটু বেশিই ঘাম ঝরাতে করতে হয়। কিন্তু জিমনেশিয়াম বন্ধ থাকায় অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় বেশ উদ্বিগ্ন মাবিয়া।
“জিমনেশিয়ামের অনুশীলন ছাড়া ভারোত্তোলকদের ফিটনেস ধরে রাখার কোনো সুযোগই নেই। ঘরে হালকা অনুশীলন, ডায়েটিং যা করছি, তা মনের খুশির জন্য। এগুলো করে ফিটনেস ধরে রাখা যায় না।”
“কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কারো কিছু করারও নেই। নিজে বাইরে বেরুতে পারছি না। নিরাপদ থাকার প্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আসতে মানা করে দিয়েছি। সবকিছু ভালো হলে যখন শুরু করব, তখন মনে হয় শুণ্য থেকেই শুরু করতে হবে।”
© All rights reserved © 2020 SKYLINE IT
Leave a Reply